Wellcome to National Portal

আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণডিহির দ্বিতল ভবনটি খুলনা যশোহর পাকা সড়কের বেজের ডাংগা বাসস্টপের এক মাইল পূর্বে অবস্থিত। এই দ্বিতল ভবনের উপর একটি চিলেকোঠা রয়েছে। মূল ভবনের নীচ তলায় ৪টি এবং দ্বিতলে ২টি কক্ষ রয়েছে। দক্ষিণ দিকে একটি বারান্দা আছে। পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা এই ভবনটি বাহ্যিক পরিমাপ ১৫.৫৫মিটার (দৈর্ঘ্য) ও ৭.৮৮ মিটার (প্রস্থ)। বারান্দার পরিমাপ ৮.১২ মিটার (দৈর্ঘ্য) ও ৩.৪২মিটার (প্রস্থ)। ভবনের দেয়ালের পুরুত্ব ০.৬০মিটার। ভবনের নীচতলার উচ্চতা ৪.০১মিটার। উপর তলার উচ্চাতা ৪.২১ মিটার। ভবনটির দেয়ালের গাথুনীতে ব্যবহৃত ইটের পরিমাপ ২৫সেমি, ১২সেমি ও ৭সেমি। ভবনের স্থাপত্য ও গঠন কাঠামোতে বৃটিশ যুগের স্থাপত্য রীতিনীতির প্রভাব সুস্পষ্ট। সম্ভবত উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এই ভবন নির্মিত হয়েছিল। 

 

দক্ষিণ দিকে ৫ টি ধাপ বিশিষ্ট সিঁড়ির সাহায্যে ৩টি অর্ধবৃত্তাকার খিলানপথের মধ্যে দিয়া বারান্দায় প্রবেশের পথ রয়েছে। খিলান তিনটি দুটি গোলাকার স্তম্ভের উপর স্থাপিত। পূর্ব-পশ্চিম দিকেও বারান্দায় দুটি অর্ধ বৃত্তাকার খিলান আছে। ভবনটির ছাদ লোহার কাড়িকাঠ ও বর্গার সমন্বয়ে নির্মিত। ভবনের ছাদের তলদেশ লোহা ও কাঠের বর্গার উপর স্থাপিত। একতল ও দ্বিতলা ছাদ বরাবর সমান্তরাল কার্ণিস আছে। ছাদের উপরে দক্ষিণ দিকে একটি প্যারাপেট আছে। প্যারাপেটের মধ্যে চুন বালির কাজ করা নকশা রয়েছে। নীচ তলায় ৮টি দরজা ও ২১টি জানালা আছে। ভবনের দরজা জানালায় কাঠের খড়খড়ি রয়েছে। জানালা ও দরজায় পিতলের কব্জা আছে। নীচতলার বারান্দায় প্রবেশের পর মূল ভবনে প্রবেশের জন্য ১টি দরজা ও ২ পার্শ্বে ২টি জানালা আছে। জানালায় মোটা লোহার গরাদ আছে। ভিতরে ও বাহিরে ২টি করিয়া প্রতি জানালায় কাঠের মোট ৪টি পাল্লা আছে। কোন কোন জানালায় কাঠের খড়খড়ি দেখা যায়। নীচ তলায় একটি কক্ষে কাঠের পাল্লা যুক্ত দেয়াল আলমিরা আছে। 

 

দ্বিতলে মোট ৭টি দরজা এবং ৬ট জানালা আছে। দোতলায় নীচ তলার অনুরুপ কাঠের পাল্লাযুক্ত তিনটি দেয়াল আলমিরা আছে। দ্বিতলের বারান্দার সম্মুখ ভাগে ৬টি গোলাকার স্তম্ভ ক্যাপিটালসহ দৃশ্যমান। বারান্দার পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে লোহার রেলিং রয়েছে। দ্বিতলের বারান্দার উভয় পার্শ্বে লোহার রেলিং এবং উপরে ড্রপওয়াল হিসাবে ব্যবহৃত কাঠের খড়খড়ি আছে। সিঁড়ির সাহায্যে দোতলায় ও তিনতলার চিলিকোঠায় ওঠার ব্যবস্থা আছে। লোহার কারুকার্য খোচিত নকশার উপরে কাঠের নির্মিত সিড়ির রেলিং রহিয়াছে। মূল ভবনের পূর্বদিকে চারটি অর্ধবৃত্তকার প্রবেশপথসহ একটি কক্ষ রহিয়াছে। উত্তর দিকের দেওয়ালের বাহিরের দিকে নীচতলার ছাদ বরাবর অনেকগুলি লোহার কড়া সমান্তরাল ভাবে লাগানো আছে। পূর্বে সম্ভবত: ইহার সহিত একটি চালা সংযুক্ত ছিল। এই দিকের দোতালার জানালাগুলির বাহিরের দিক কাঠের সানশেড দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল। ইহাতে বৃষ্টির পানি ঘরে প্রবেশ করিতে পারিত না।


'‌প্রত্নসম্পদ একটি দেশের অতীত ঐতিহ্যের বাহক' '‌প্রত্নসম্পদ জাতীয় সম্পদরক্ষার দায়িত্ব সকলের' 'পুরাকীর্তি আইন সম্পর্কে সচেতন হোন'