বাগেরহাট শহরের সুন্দরঘোনায় ষাট গমবুজ মসজিদের দক্ষিণ পূর্ব কোণে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে। মুসলিম সংস্কৃতি ও খানজাহান আলীর স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এটি তৈরি। বাগেরহাট অঞ্চল থেকে সংগৃহীত প্রত্ননিদর্শন প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই জাদুঘরটি করা হয়েছে। খানজাহান আলীর স্মৃতি সংরক্ষণকল্পে জাতিসংঘের অর্থানুকূল্যো ইউনেস্কোর অর্থ সাহায্যে জাদুঘর ভবন নির্মাণ করা হয়। একতলা ভবনের তিনটি গ্যালারি বিশিষ্ট দক্ষিণমুখী জাদুঘর ভবনে সহাপত্যিক বৈশিষ্ট্য ইসলামী সহাপত্যকলাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এই জেলা সম্পর্কিত অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মারক পাওয়া যাবে এখানে। রয়েছে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া স্মৃতিচিহ্ন, মুদ্রা, বাসন, তৈজসপত্র, মানচিত্র, আরো আছে লিপিবদ্ধ ইতিহাস। আকর্ষনীয় হিসেবে রয়েছে সারাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য মসজিদ ও পুরাতাত্ত্বিক স্থাপনার সুন্দর সুন্দর সব ছবি, এক লহমায় মনে হবে মিনি বাংলাদেশ। সবচেয়ে আকর্ষনীয় হচ্ছে খান জাহান আলির ঐতিহাসিক কুমিরের মমি। প্রাপ্ত তথ্য মতে কালাপাহাড় বা ধলাপাহাড়ের মৃত শরীরকে মমি করে অথবা শুধু চামড়া দিয়ে এই ডামি বানানো হয়েছে। যদিও মাথাটি সম্পূর্ণই কৃত্রিম। টিকেট প্রাপ্তিস্থান: জাদুঘরের গেটের পাশেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার, জনপ্রতি টিকেট এর দাম পনের টাকা করে, তবে পাঁচ বছরের কম কোন বাচ্চার জন্যে টিকেট এর দরকার পড়েনা। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশু-কিশোরদের জন্য প্রবেশ মুল্যে নির্ধারন করা হয়েছে ৫ টাকা। সার্কভুক্ত বিদেশি দর্শনার্থীর জন্যে টিকেট মূল্য পঞ্চাশ টাকা এবং অন্যান্য বিদেশী দর্শকদের জন্য টিকেটের মূল্য একশত টাকা করে। বন্ধ-খোলার সময়সূচী: গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা ২.০০ থেকে খোলা থাকে। এছাড়াও সরকারী কোন বিশেষ দিবসে জাদুঘর থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস