যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ভরত ভায়না মৌজায় (জে.এল.নম্বর ১৩৯) বুড়িভদ্রা নদীর প্রায় ৩০০ মিটার পূর্ব দিকে এটি অবস্থিত। ভৌগোলিকভাবে এর অবস্থান ২২০ ৫র্০ ৫৯.২র্৫র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯০২র্০ ৫৫.৬র্০র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। বিশ শতকের প্রথমদিকে “আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া” এর তত্ত্বাবধায়ক কাশীনাথ দিক্ষীত ভরত ভায়না ঢিবি পরিদর্শন করেন এবং এটিকে খ্রিস্টীয় ৫ম শতকের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল (ভরত ভায়না স্তূপ ঢিবি) হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আরো অনুমান করেন যে, এটি সম্ভবত হিউয়েন সাঙ বর্ণিত সমতটের ৩০ টি সংঘারামের মধ্যে একটি। প্রায় শতবর্ষ পূর্বে তিনি কোনো রকম বিস্তৃত জরিপ, অনুসন্ধান বা পরীক্ষামূলক উৎখনন ছাড়াই এই অনুমান করেছেন। পরবর্তীতে মিত্র, যাকারিয়া, আর আলম দিক্ষীতের অনুমান নির্ভর সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হন। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৮৪-৮৫ এবং ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত এ স্থাপত্যিক ঢিবিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন করেছে। দীর্ঘ বিরতির পর ভরত ভায়না প্রত্নস্থলের সংস্কার ও সংরক্ষণের প্রয়োজনে পুনরায় প্রত্নতাত্ত্বিক খনন করা হয়। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের খনন দলের অংশগ্রহণে ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে ঢিবির এক-চতুর্থাংশের (উত্তর-পশ্চিমাংশ) স্থাপত্যকাঠামো উন্মোচনের নিমিত্তে খননকাজ সম্পাদিত হয়। ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে পরিচালিত প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজের ভিত্তিতে ৩ টি স্থাপত্যিক কালপর্ব (period) পাওয়া গিয়েছে: |
|
|
|
কালপর্ব ১: একটি সম্ভাব্য বর্গাকার (আনু. ৪২.১৬ মিটার) ভূমি-নকশা সম্বলিত ইটের তৈরি স্থাপত্য কাঠামো, যা প্যানেল এবং পিলাস্টার দ্বারা অলংকৃত। পারিপাশির্^ক সমতল ভূমির উপরে নির্মিত প্রদক্ষিণ পথ হতে প্রায় ৫ মিটার উঁচুতে এই অলংকৃত প্যানেল এবং পিলাস্টার অবস্থিত। নকশা সম্বলিত ইট দিয়ে দেয়ালের প্যানেলগুলো অলংকৃত। বিভিন্ন ধরনের নকশা (উদ্ভিজ্জ ও জ্যামিতিক) দিয়ে এটি অলংকৃত; যেমন, কপিং, ডেন্টিং, খিলান, ফুল-লতাপাতা ইত্যাদি। ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরের খননের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নকশাকৃত ইট মন্দিরের দেয়ালে অপরিবর্তিত প্রেক্ষিতে (ইন-সিট)ু অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পূর্ববর্তী খননসমূহে নকশাকৃত ইট বিভিন্ন দেয়ালের মধ্যে পুনর্ব্যবহার করা অবস্থায় অথবা আবদ্ধ প্রকোষ্ঠের ভরাটকৃত মাটির মধ্যে মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। অন্যান্য দিকগুলোয়/পাশর্^গুলোয় ইতিমধ্যে সংস্কার কার্য পরিচালনা করায় প্রবেশপথ শনাক্ত করা সম্ভবপর হয়নি। ইতোমধ্যে সম্পাদিত সংরক্ষণকৃত মন্দিরের অন্যান্য অংশগুলো উলম্বভাবে অপসারণ ব্যতিত এই কালপর্বের সম্পূর্ণ ভূমি-নকশা পাওয়া সম্ভব নয়।
|
|
কালপর্ব ২: প্রথম কালপর্বের বর্গাকার স্থাপত্য কাঠামোর চারদিকে (প্রত্যেক পাশের্^র মাঝখানে) ৪ টি অভিক্ষেপ (ঢ়ৎড়লবপঃরড়হ) যুক্ত করা হয়েছিল। প্রত্যেকটি অভিক্ষেপের পরিমাপ ২৬.৬২ মিটার ঢ ১৩.৫০ মিটার। সম্পূর্ণ মন্দিরের পরিমাপ (একটি অভিক্ষেপ হতে আরেকটি অভিক্ষেপ পর্যন্ত) পূর্ব-পশ্চিমে ৯৯.৪০ মিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে ৯৫.৪০ মিটার। এই অভিক্ষেপগুলো সংযুক্ত করার ফলে মন্দিরের ভূমি-নকশা সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন হয়েছিল। এর মাধ্যমে মন্দিরটি ক্রুশাকৃতির আকার ধারন করে। এই অভিক্ষেপগুলোর কিছু অংশে অলংকৃত প্যানেল পাওয়া গিয়েছে। নকশাকৃত ইট দিয়ে প্যানেলগুলো অলংকৃত। মজার ব্যাপার, এর দেয়ালের গাঁথুনিতে সূক্ষ বালিযুক্ত পলি ব্যবহার করা হয়েছে মর্টার হিসেবে। এই অভিক্ষেপগুলোয় কোনো প্রতিমা ব্যবহারের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি পূর্ববর্তী খননগুলোর কারণে। |
|
|
|
কালপর্ব ৩: এই কালপর্বটি জটিল এবং সম্ভবত, এর কয়েকটি পর্যায়কাল রয়েছে। প্রথম কালপর্বের বর্গাকার স্থাপত্য কাঠামোটির সম্পূর্ণ অংশের চারপাশে এবং দ্বিতীয় কালপর্বে অভিক্ষেপগুলোর অংশবিশেষে একটি উঁচু দেয়াল (সংলগ্ন প্রদক্ষিণ পথ হতে ৫ মিটারের অধিক উঁচু) নির্মাণ করা হয়। বাইরের দিকের উঁচু দেয়ালের চারপাশে সমুদ্র সমতল হতে ৩.৯৬ মিটার উচ্চতায় একটি ৩ মিটার চওড়া প্রদক্ষিণ পথ পাওয়া গিয়েছে। চারপাশে প্রদক্ষিণ পথ হতে টিকে থাকা স্থাপত্য কাঠামোটির উপরিভাগ বা শীর্ষের উচ্চতা ৯.৪৫ মিটার। প্রদক্ষিণ পথ নির্মাণে বড় আকারের সম্পূর্ণ ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ইটের পরিমাপ ৩৬ সেমি ঢ ২৬ সেমি ঢ ৬ সেমি। প্রদক্ষিণ পথের উপরে ১৫-১৮ সেমি পুরু মেঝে পাওয়া গিয়েছে। মেঝে তৈরিতে ইটের গুড়ো এবং মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশ ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের সময় বাইরের দিকের উঁচু দেয়াল সংলগ্ন প্রদক্ষিণ পথের মেঝের উপরে সঞ্চিত পুরু স্তরের মধ্যে চুন-বালির প্লাস্টারের নমুনা বা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, দেয়ালটি চুন-বালি দিয়ে প্লাস্টার করা হয়েছিল। মুসলিম-পূর্ব সময়কালে পূর্ব-ভারতীয় বিভিন্ন প্রত্নস্থানে চুনের প্রলেপ ব্যবহারের ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
|
|
২০১৬-১৭ অর্থ-বছরে C/III-20 নং বর্গে ঢিবি শীর্ষদেশে চারপাশের্^র প্রদক্ষিণ পথ হতে ৮.৯৯ মিটার উচ্চতায় একটি ইটের তৈরি সোলিং নথিভূক্ত করা হয়েছে। সাইট পরিচারকের (ংরঃব ধঃঃবহফধহঃ) সাক্ষ্য অনুযায়ী জানা যায় পূর্ববর্তী খননের সময় কেন্দ্রীয় ভিত্তিবেদীর (ঢ়ষধঃভড়ৎস) চারপাশে ঢিবির বিভিন্ন অংশে এধরনের ইটের সোলিং ছিল। সম্ভবত এটি তৃতীয় কালপর্বে নির্মিত হয়েছিল। এই ইটের সোলিং হতে ধারণা করা যায় যে, ক্রুশাকৃতির মন্দিরটি ব্যবহৃত হওয়ার সময়ে সম্ভবত ভূমিতলের উপরে একটি প্রদক্ষিণ পথ (আরেকটি প্রদক্ষিণ পথ?) ছিল । |
|
স্থাপত্য কাঠামোর শীর্ষদেশে রয়েছে একটি উঁচু বর্গাকার ( প্রতিটি পার্শ্ব ১১.২ মিটার) ভিত্তিবেদী (ঢ়ষধঃভড়ৎস)। এটি চারটি আবদ্ধ প্রকোষ্ঠের সমন্বয়ে গঠিত (প্রত্যেকটি কক্ষের পরিমাপ ২.০২ মি. ঢ ২.১০ মি.) এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২.৮০ মিটার। সম্ভবত এর উপরে একটি উপরিকাঠামো (ংঁঢ়বৎংঃৎঁপঃঁৎব) ছিল। বর্তমানে দেয়ালগুলো এবং কয়েক স্তর ইট ছাড়া কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না, অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। স্থাপত্য কাঠামোটিতে সর্বমোট ৯৪ টি আবদ্ধ প্রকোষ্ঠ রয়েছে (মহাস্থানগড়ের নিকটবর্তী গোকুলমেধ, দিনাজপুরের সন্দলপুরের মন্দির ও উত্তর প্রদেশের অহিচ্ছত্রে এধরনের স্থাপত্য কাঠামো দেখা যায়) যার উপরে স্থাপত্য কাঠামোটি নির্মিত। কতগুলো সমান্তরাল দেয়াল দিয়ে নির্মিত এবং মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পলি মাটি দিয়ে ভরাট করা। এই স্থাপত্য কাঠামোসমূহ প্রথম নির্মাণ কালের পরবর্তী সময়ে নির্মিত।
|
|
|
|
নির্মাণশৈলি এবং স্তূপ ও মন্দিরের বিবর্তনের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় কালপর্বের স্থাপত্য কাঠামোটিকে বৌদ্ধ মন্দির বা স্তূপ হিসেবে শনাক্ত করা যায়। এটি ক্রুশাকৃতি শৈলির মন্দির বলে অনুমিত হয়। এই ক্রুশাকৃতি মন্দির সপ্তম শতক এবং সপ্তম শতকের পরবর্তী সময়ের পূর্ব ভারতীয় মন্দির স্থাপত্যের বিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। পূর্ব ভারতীয় মন্দির স্থাপত্যের মানদ- অনুযায়ী এই ধরনের মন্দির সর্বোতভদ্র শৈলির মন্দির বলে পরিচিত এবং সরস্বতী এই শৈলিকে শ্রেণিকরণ করেছেন শিখরশীর্ষ ভদ্র (টাইপ ৪) হিসেবে। খননে প্রাপ্ত অপ্রতুল আলামতের কারণে প্রথম কালপর্বের স্থাপত্য কাঠামোর প্রকৃতি এবং ধমীর্য় অন্তর্ভুক্তি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। কয়েকটি পোড়ামাটির ফলকের ভগ্নাংশ (মানব ও প্রাণী মূর্তি খোচিত) ২০১৬-১৭ এবং পূর্ববর্তী প্রত্নতাত্ত্বিক খননে পাওয়া গিয়েছে। অপরিবর্তিত পরিপ্রেক্ষিতে (ইন-সিটু অবস্থায়) মন্দিরে কোনো পোড়ামাটির ফলক পাওয়া যায়নি। আবদ্ধ প্রকোষ্ঠের পুনর্ভরাটকৃত মাটির মধ্যে কয়েকটি পোড়ামাটির ফলকের ভগ্নাংশ পাওয়া গিয়েছে। অন্ততপক্ষে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কালপর্বে মন্দিরটি ব্যবহারকালীন সময়ে এগুলো ব্যবহার করা হয়নি বলেই এই আলামত নির্দেশ করে। এছাড়াও, ঢিবি সংলগ্ন এলাকা হতে কয়েকটি বড় আকারের পোড়ামাটির ফলকের ভগ্নাংশ পাওয়া গিয়েছে। পোড়ামাটির ফলকগুলোর পরিমাপ প্রথম ও দ্বিতীয় কালপর্বের প্যানেলগুলোর সাথে মেলে না। সুতরাং ঢিবির স্থাপত্য কাঠামোর সাথে পোড়ামাটির ফলকগুলোকে সম্পর্কযুক্ত করা খুবই কঠিন।
|
|
উপরোল্লিখিত আলামতসমূহ প্রমাণ করে যে মন্দিরটির সময়কাল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করতে হবে। ইতোপূর্বে মোশাররফ হোসেন ব্যতিত পণ্ডিতদের সকলেই দিক্ষীতের অনুমান নির্ভর ধারণাকে অনুসরণ করেছেন। সুচারু পর্যবেক্ষণ এবং নির্ভরযোগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক ও অন্যান্য প্রমানসমূহ এই মন্দিরের সময়কাল পঞ্চম শতক বা পঞ্চম শতকের পূর্ববর্তী বলে সমর্থন করে না। ক্রুশাকৃতির মন্দির প্রাচীন ভারতীয় মন্দির স্থাপত্যের রূপান্তরের ইতিহাস অনুযায়ী পঞ্চম শতক পরবর্তী ক্রমবিকাশ। পূর্ব ভারতে ক্রুশাকৃতির সর্বোতভদ্র মন্দিরের শৈলি ও গঠনের ক্রমবিকাশ নবম শতক ও এর পরবর্তী সময়ের এবং পরবর্তীকালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই শৈলি গ্রহণ করা হয়েছিল। এধরনের সুনির্দিষ্ট রকমের সুবিখ্যাত উদাহরণ হচ্ছে সোমপুর মহাবিহার (বাংলাদেশের বর্তমান পাহাড়পুর বিহার), ভারতের বিহারের এন্টিচকের প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ যা বিক্রমশীলা মহাবিহার হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের লালমাই-ময়নামতি অঞ্চলের বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মীয় মন্দিরসমূহ। এগুলোর কোনোটিই নবম শতকের পূর্বের সময়কালের নয়। ভরত ভায়নার প্রথম কালপর্বের মন্দিরটি অবশ্যই নবম শতকের পূর্বের এবং এই কালপর্বের মন্দিরটির সময়কাল সপ্তম শতকের পূর্বের হওয়ার সম্ভাব্য কোনো কারণ নেই। পাশাপাশি প্রাপ্ত মৃৎপাত্রসমূহও এই সময়কালকে সমর্থন করে, যা জনপ্রিয়ভাবে ‘আদি মধ্যযুগ’ (খ্রি. ৬ষ্ঠ শতক থেকে ১৩শ শতক অব্দি) বলে পরিচিত। ইটের পরিমাপ এবং পোড়ামাটির ফলকচিত্রের শৈলির ভিত্তিতে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সময়কাল নির্ধারণের পদ্ধতি পূর্ব ভারতীয় মুসলিম-পূর্ব সময়কালের প্রেক্ষিতে প্রশ্নবিদ্ধ। এর কারণ ইটের পুনর্ব্যবহার, পোড়ামাটির ফলকচিত্রের শৈলির বিভিন্নতা ও পুনর্ব্যবহার। সুতরাং ভরত ভায়নার মন্দির গুপ্ত বা আদি ঐতিহাসিক যুগের হিসেবে চিহ্নিত করা বিভ্রান্তিকর।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে, বেশির ভাগ ক্রুশাকৃতি শ্রেণির মন্দির বৌদ্ধসংঘারাম বা বৌদ্ধ বিহারের (সড়হধংঃবৎরবং) সাথে পাওয়া গিয়েছে। বৌদ্ধ আশ্রম বা বৌদ্ধ বিহারের কোনো অবশেষ খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রত্নস্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট পারিপার্শ্বিক এলাকা অবশ্যই অত্যন্ত নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। যদিও সমসাময়িক বসতির কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যেই বেশির ভাগ প্রত্নস্থানই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, কোনো ধরনের আলামত বা প্রমাণ না রেখেই। যদি এটি একটি বিচ্ছিন্ন মন্দির হয়ে থাকে, তাহলে ব্যাখ্যামূলক ধারাবাহিক ক্রমটি খুবই গুরু¦পূর্ণ হবে। বৌদ্ধ আশ্রম বা বৌদ্ধ বিহারের স্থাপনা হতে বিচ্ছিন্ন একটি ক্রুশাকৃতির বৌদ্ধ মন্দির ধারণা প্রদান করে যে এই অঞ্চলের সাধারন জনজীবনের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার ঘটেছিল আর তাদের উপাসনালয় হিসেবে এধরনের মন্দির নির্মাণ করা হয়েছিল।
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস