বাংলাদেশ অত্যন্ত গৌরবোজ্জল ঐতিহ্যের অধিকারী। আড়াই হাজার বছরের অধিক সময়ে এদেশে বিভিন্ন জনগোষ্ঠি, শাসক শ্রেণী গড়ে তোলে অসংখ্য ইমারত, নগর , প্রাসাদ, দুর্গ, মন্দির, মসজিদ, বিহার স্তুপ ও সমাধি সৌধ। এসব ঐতিহ্যের অধিকাংশই কালের গর্ভে বিলীন হলেও উল্লেখেযোগ্য সংখ্যক সংস্কৃতি চিহ্ন এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজো টিকে আছে যা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সমধিক পরিচিত। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়, খুলনা Antiquities Act-1968 (Amendment-1976) এর আলোকে দেশের দক্ষিণবঙ্গের পুরাকীর্তিসমূহের সংস্কার-সংরক্ষণ, অনুসন্ধান, প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়, খুলনা এর অধীনে ৯টি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর ও প্রদর্শনীকেন্দ্র রয়েছে। এসব জাদুঘরের মাধ্যমে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনাদি প্রদর্শিত হচ্ছে। এ দপ্তর দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাচীন সংস্কৃতি চিহ্নের আবিস্কারের মাধ্যমে ইতিহাস পুনরুদ্ধার এবং উম্মোচিত স্থাপত্যিক কাঠামোর সংস্কার সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করে থাকে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জাদুঘর সমূহ প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশী এবং বিদেশী দর্শক, ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকগণ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করে থাকেন। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়, খুলনা এর আওতায় ১২২ টি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি রয়েছে । তন্মধ্যে ষাট গম্বুজ মসজিদ, ভরত ভায়না, দমদম পীরস্থান ঢিবি, বারবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস